আমরা অনেকেই জানিনা, কোন কাজ করলে কি গুনাহ হয়? কোন কাজের ধারা কবিরা গুনাহ হয়। অথবা কোন টা কে কবিরা গুনাহ, কোন টা কে সগীরা গুনাহ বলে।
যেই সকল গুনাহ সম্পর্কে কোরআন হাদীসে সরাসরি জাহান্নাম বা আযাবের কথা বর্ণনা করা হয়েছে সেইগুলি কবিরা গুনাহ।আর যেই সব গুনাহ সম্পর্কে আযাবের কথা স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়নি বরং শুধু নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সেই গুলি
সগীরা গুনাহ। তবে সগীরা গুনাহ কে সাধারণ মনে করে বা অব্যস্ত হয়ে যায় অথবা বার বার করে থাকে তবে তা কবিরা গুনাহে পরিণত হয়ে যায়।
নিম্নে কয়েকটি কবিরা গুনাহের বর্ণনা দেওয়া হলো।
১। মানুষ হত্যা করা।
২। পিতা -মাতার অবাধ্য হওয়া বা কষ্ট দেওয়া।
৩। যিনা করা।
৪। হস্ত মৈথুন করা।
৫। হায়েয-নেফাস অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম করা।
৬। বিনা প্রমানে কারো প্রতি অপবাদ লাগানো।
৭। গীবত করা।
৮। গীবত শোনা
৯। দান করে খুটা বা তুলনা দেওয়া বা কষ্ট দেওয়া।
১০। অন্যের দোষ -ত্রুটি অনুসন্ধান করা ও প্রকাশ
করা।
১১। করো প্রতি খারাপ ধারণা করা।
১২। চোগলখোরী বা কুটনামী করা।
১৩। এতিমের সম্পদ খাওয়া।
১৪। আমানতের খেয়ানত করা।
১৫। প্রাপ্য আদায়ে কার্পন্য করা।
১৬। চুরি করা।
১৭। কারো জান-মাল বা সম্মানের হানী করা।
১৮। হাসি-ঠাট্টা করে কাউকে অপমানিত করা।
১৯। সুদ খাওয়া বা দেওয়া।
২০। মাপে কম-বেশী করা।
২১। জুয়া খেলা।
২২। সম্পদের অপচয় করা।
২৩। মিথ্যা বলা।
২৪। ওয়াদা ভঙ্গ করা।
২৫। অন্যায় বিচার করা।
২৬। একাধিক স্ত্রী থাকিলে তাদের মধ্যে সমবন্টন ও সমতা বজায় না রাখা।
২৭। জুলুম – অত্যাচার করা।
২৮। লোকের সামনে সতর খোলা।
২৯। অন্যের সতরের প্রতি দৃষ্টিপাত করা।
৩০। অপরের ঘরে উঁকি দেওয়া।
৩১। বিনা অনুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ করা।
৩২। জ্যোতিষী -গণকের কথা বিশ্বাস করা।
৩৩। কোন মুসলমানকে কাফির বলা।
৩৪। রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর প্রতি স্বেচ্ছায় অসত্যারোপ করা।
৩৫। কোন সাহাবী (রা.) কে মন্দ বলা।
৩৬। কোরআন শরীফ পড়ে ভুলে যাওয়া।
৩৭। ইলেম অনুযায়ী আমল না করা।
৩৮। আত্মীয়তা ছিন্ন করা।
৩৯। কারো বংশের উপর দোষারোপ করা।
৪০। তাক্বদীরকে অবিশ্বাস করা।
৪১। সগীরাহ গুনাহ বার বার করতে থাকা।
৪২। যে কোন ছোট গুনাহ কে সাধারণ মনে করা।