যে সমস্ত নিয়ম গুলো দ্বারা দূ’আ করলে আপনার দু’আ কবূল হবে। এক হাদীসে এসেছে- হুযূর (সা.)ইরশাদ করেছেন,দূ’আ হতে বড় কোন জিনিস নেই।
অন্য এক হাদীসে ফরমাইয়েছেন- যে ব্যাক্তি আল্লাহর কাছে দূ’আ করে না, আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।
তাই আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দূ’য়া করা।আর দূ’আ কিভাবে করতে হয় তা নিম্নে
দেওয়া হলো।
১। খানা-পিনা এবং রোযগারের মাধ্যম সমূহে হারাম জিনিস সমূহ থেকে বেঁচে থাকা।
২। দূ’আ করার সময় অত্যন্ত ইখলাসের সহিত দূ’আ করা।
৩। দূ’আ করার সময় হাঁটু জোড় করে বসা।
৪। কিবলামুখী হয়ে বসা।
৫। অত্যন্ত আদব,বিনয় ও নম্রতার সহিত দূ’আ করা মুস্তাহাব।
৬। দূ’আ করার সময় আসমানের দিকে নজর উঠানো আদবের পরিপন্থী এবং এটা অপছন্দনীয়।
৭। দূ’আর পূর্বে কিছু নেক আমল করে নেওয়া।
যেমন-নামায, তিলাওয়াত ইত্যাদি।
৮। ওযূ সহকারে দূ’আ করা মুস্তাহাব।
৯। পাক-পবিত্র পোষাক হওয়া দূ’আর জন্য আদব।
১০। দূ’আর পূর্বে দুই রাক’আত সালাতুল হাজাত পড়া মুস্তাহাব।
১১। দূ’আর শুরুতে ও শেষে আল্লাহর প্রশংসা করা।
১২। দূ’আর শুরু ও শেষে নবী করীম ( সা.) এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা।
১৩। দূ’আর মধ্যে উভয় হাতকে কাঁধ পর্যন্ত উঠানো মুস্তাহাব।
১৪। নবীগনের ওসীলায় দূ’আ করা মুস্তাহাব।
১৫। গুনাহসমূহ হতে তাওবা করে দূ’আ করা মুস্তাহাব।
১৬। দূ’আ কবূল হবে এই আশা করে দূ’আ করা।
১৭। ইয়াক্বীনের সহিত দূ’আ করা।
১৮। দূ’আর মধ্যে নিজের সমস্ত সমস্যা উল্লেখ করা।
১৯। দূ’আর মধ্যে উৎসাহ ও মুহাব্বত প্রকাশ করা।
২০। দূ’আর পর স্বীয় দুই হাত মুখে মুছে নেওয়া।