কুফর : এমন কিছু অপ্রয়োজনীয় কথা বা কাজ রয়েছে যেইগুলো ইসলামের সরাসরি বিরোধী। এই গুলোকে শরীয়তের পরিভাষায় কুফরী বলা হয়। তাছাড়া কুফরের সংজ্ঞা মুহাদ্দেসীনে কেরাম এই ভাবে বর্ণনা করেছেন যে কুফর বলা হয়, রাসূলে। কারীম (সা.)যে সকল বিধানাবলীব বা নিষেধাবালী আল্লাহর পক্ষ হতে এনেছেন তা হতে কোন একটিকে অস্বীকার করা বা স্বীকার না করা।
কুফরের বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো-
১। কুফর কে পছন্দ করা।
২। কুফরী কথা-বার্তাকে ভাল মনে করা।
৩। কারো দ্বারা কুফরী কথা বলানো।
৪। ঈমানের উপর অনুতাপ করা।
৫। ছেলে-সন্তান বা আপন জনের মৃত্যুতে এইরূপ বলা যে, আল্লাহ আমার ছেলেকেই চোখে দেখেছে” ইত্যাদি।
৬। আল্লাহ ও রাসূলের কোন নির্দেশ কে বা ইসলামের কোন বিধানকে খারাপ মনে করা বা তার মধ্যে ত্রুটি অন্বেষণ করা।
৭।কোন নবী-রাসূল বা ফিরিশতাকে তুচ্ছ করা বা দোষারোপ করা।
৮। কোন সুন্নাত কে অস্বীকার করা বা তুচ্ছ করা।
৯। আল্লাহ তায়ালার দীদার (সাক্ষাৎ)কে অসম্ভব মনে করা।
১০। আল্লাহ তায়ালার শরীর,হাত,পা,চেহারা ইত্যাদির রূপ বা আকার নির্ণিয় করা।
১১। প্রকাশ্য কোন হালাল কে হারাম অথবা হারাম কে হালাল মনে করা,বা ফরযকে ফরয মনে না করা।
১২। কোন বিষয়ে এইরূপ বলা যে আল্লাহ ক্ষমা করলেও আমি ক্ষমা করব না।
১৩। আল্লাহ তায়ালা মানুষের চেষ্টা ছাড়া রিযিক দিতে পারে না মনে করা।
১৪।যদি আল্লাহ তায়ালা এক হয় বা সত্য হয় অথবা কোরআন সত্য হয় তবে এরূপ হবে বা এইরূপ করব বলা।
১৫। স্বামীকে অভিশাপ করা।
১৬। ফিরিশতা এসে বললেও মানবো না এমন কথাবলা।
১৭। নামায পড়ে কি লাভ? এমন কথা বলা।
১৮। নামায পড়ার সময় কোথায়? সময়ের অভাবে নামায পড়তে পারিনা” বলা।
১৯। দাড়ি,টুপি,মসজিদ,আযান-ইক্বামত ইত্যাদি নিয়ে কটাক্ষ করা।
২০। রাখ তোমার শরীয়ত,অথবা শরীয়ত আমি মানি না । এরকম বলা ইত্যাদি।