★ ঘুমাোর দোয়াঃ-
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণঃ- “আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়া”
★ ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার দোয়াঃ-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانًا بَعْدَمَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণঃ- “আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহইয়ানা-বা’দা মা-আমা-তানা-ওয়া ইলায়হিন নুশূর”
অর্থঃ- সকল প্রশংসা আল্লাহর! যিনি মৃত্যুর পর জীবন দিয়েছেন আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
দলীলঃ-
সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; আবু দাউদ, হা/৫০৫১; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩১৯; শু’আবুল ঈমান, হা/৪৩৮৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৫৩৯।
★ এবং বলতে হয়ঃ-
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، سُبْحَانَ اللّٰهِ، وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ، وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ
অর্থঃ- একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা করুন
উচ্চারণঃ- লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী
দলীলঃ-
বুখারী: ফাতহুল বারী, ৩/৩৯, নং ১১৫৪। হাদীসের ভাষ্য ইবন মাজাহ এর অনুরূপ। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্: ২/৩৩৫।
★এবং বলতে হয়ঃ-
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ فِيْ جَسَدِي، وَرَدَّ عَلَيَّ رُوْحِي، وَأَذِنَ لِيْ بِذِكْرِهِ
অর্থঃ- সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিক্র করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন
উচ্চারণঃ- আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী, ওয়ারদ্দা ‘আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী
দলীলঃ-
তিরমিযী ৫/৪৭৩, নং ৩৪০১। দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৪৪।
অর্থঃ- হে আল্লাহ! তোমার নামেই মৃত্যুলাভ (নিদ্রা) করছি এবং তোমার নামেই জীবিত (জাগ্রত) হব।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কাজ তাঁর আদর্শ এবং রেখে যাওয়া পথ-পদ্ধতি সম্পর্কে একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই জ্ঞ্যান থাকাটা খুব জরুরি। ঘুম বান্দার প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত এক বিরাট নেয়ামত । সেই নেয়ামতের শোকর তখনই হবে, যখন আমরা আল্লাহর নেয়ামতকে রাসুলের (সা.) এর সুন্নাত মোতাবেক পালন করবো । এতে একদিকে আমাদের আমলের সাওয়াব লাভ হবে, নেয়মাতের শোকার আদায় হবে, একই সাথে আল্লাহ রাসুলের (সা.) এর নির্দেশনায় যে কল্যাণ রয়েছে, তা থেকেও বঞ্চিত হবো না ।
হাদিসে বর্ণিত ঘুমানোর আগে যে-সব সুন্নাত রয়েছে, তা হলো-
১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া।
২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করে ঘুমানো।
৩. ঘুমের সময় ঘুমের দোয়া পাঠ করা। হাদিসে বর্ণিত ঘুমের দোয়া হলো, ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ আপনার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি আবার আপনার নামেই জীবিত হই। কেননা, ঘুমকে বলা হয় মৃত্যুর ভাই । মানুষ যখন ঘুমে যায়, তখন তার রুহ আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার জাগরণের পূর্বে রুহ আবার তার দেহে ফিরিয়ে দেয়া হয়। (বুখারি)
৪. ডান কাত হয়ে শোয়া। অর্থাৎ ঘুমের শুরুটা যেনো ডান কাতে হয়। এরপর ঘুমের ঘোরে অন্য যে কোনোভাবে ঘুমালেও সুন্নাত পরিপন্থী হবে না।
৫. অপবিত্র অবস্থায় ঘুমাতে হলে শরীরের বাহ্যিক অপবিত্রতা ধুয়ে অযু করে ঘুমানো ।
৬. নগ্ন হয়ে না ঘুমানো । (বুখারি)
৭. একান্ত প্রয়োজন না হলে উপুড় হয়ে না ঘুমানো সুন্নাত । ৮. ঘুমানোর সময় আগুন জ্বালানো বাতি নিভিয়ে ঘুমানো । (তিরমিযি)
৯. ঘুম ঘোরে দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া ।
১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে বাম দিকে তিনবার থুথু ছিটানো এবং দোয়া করা, ‘হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে পানাহ চাই ।’ এভাবে তিনবার বলা । তবে দুঃস্বপ্ন কাউকে না বলা সুন্নাত। (মুসলিম)
Connect With Us
Subscribe | Like | Follow
Daily Visit – https://islamicminar.com
আইকনে ক্লিক করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন।
আমাদের সাথেই থাকুন | জাযাকাল্লাহু খায়রান