50+islamic quotes bangla || ইসলামিক স্ট্যাটাস
১। শতকরা আড়াই ভাগ হচ্ছে বখীল দুনিয়াদারদের যাকাত। যাঁরা সিদ্দীকের দরজায় পৌঁছে যান, তাঁদের যাকাত হচ্ছে সমস্ত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দেওয়া। .
২। অভাবীদের সামনে বিনয়ের সাথে সদকা পেশ কর। আন্তরিক আগ্রহ ও খুশীর সাথে সদকা দেওয়া কবুল হওয়ার আলামত ।
৩। মনে মনে আকাঙক্ষা করলেই সম্পদশালী হওয়া যায় না। যেমন, পাকা চুলে খেযাব লাগিয়ে কেউ যৌবন ফিরে পায় না।
৪। এবাদত একটি পেশার মত, এর দোকান হচ্ছে নির্জনতা, পুঁজি হচ্ছে তাকওয়া বা আল্লাহ-ভীতি এবং লভ্যাংশ হচ্ছে জান্নাত ।
৫। গোনাহ থেকে তওবা করা ওয়াজেব। তবে গোনাহ থেকে দূরে থাকা আরও বড় দরজার ওয়াজেব।
৬। কালের উত্থান-পতন নিঃসন্দেহে আশ্চর্যের বিষয়। তবে চোখের সামনেই অনেক উত্থান-পতনের ঘটনা দেখেও শিক্ষা গ্রহণ না করাটাই সবচাইতে বড় আশ্চর্যের
ব্যাপার ।
৭। তওবা করা বৃদ্ধের পক্ষেও প্রশংসনীয় কাজ তবে যুবকের তওবা সর্বাপেক্ষা প্ৰশংসনীয় ।
৮। ধনীর পক্ষে দান করা একটা প্রশংসনীয় কাজ, তবে গরীবের দান সর্বাধিক প্ৰশংসনীয়।
৯। অশিক্ষিত লোকদের পক্ষে পার্থিব জীবনের চিন্তাভাবনার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে ফেলা অন্যায় কাজ। তবে কোন আলেমের পক্ষে সেটা একটা জঘন্যতম অন্যায়।
১০। এবাদতে অলসতা সাধারণ মানুষের জন্যও নিন্দনীয়। কিন্তু আলেম ও এলেম শিক্ষার্থীগণের ক্ষেত্রে সেটা অধিকতর ঘৃণ্য আচরণ।
১১। অহঙ্কার করা ধনীদের জন্যও একটা বড় অপরাধ। কিন্তু কোন পরমুখাপেক্ষী ব্যক্তি যখন অহঙ্কার দেখায়, তখন সেটা আরও বড় অপরাধ বলে বিবেচিত হয়।
১২। বিনয়-নম্রতা গরীবের জন্যও একটা উত্তম অভ্যাস। কিন্তু ধনীর বিনয় একটা উচ্চস্তরের চরিত্রবিশেষ ।
১৩। ভুলের সম্ভাবনা যেখানে সেখানে যেমন ছাহুসেজদার মাধ্যমে নামায শুদ্ধ করা হয়, তেমনি জেহাদের মাধ্যমে দুর্বল ঈমানও পরিশুদ্ধ হয়ে থাকে।
১৪। যে কোন দিন কাঁদে নাই, কাঁদতে জানে না, ক্রন্দনরতদের প্রতি তার মনে অনুগ্রহ সৃষ্টি হবে কিভাবে?
১৫। অভিযোগ থেকে জিহ্বাকে বিরত রাখ, আনন্দময় জীবনলাভ করতে পারবে।
১৬। কোন সৎকাজের অনুষ্ঠান ছাড়াই তোমার জীবন থেকে যে দিনটা খসে গেল, সেদিনটির জন্য আক্ষেপে ক্রন্দন কর।
১৭। দ্বিধাহীন চিত্তে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া কেবল তার পক্ষেই সম্ভব, যার নিজের সৎ- কর্মাবলীর উপর পূর্ণ আস্থা আছে।
১৮। সব পুণ্যেরই একটা সীমা আছে। কিন্তু ধৈর্য এমন একটা পুণ্য, যার কোন সীমা পরিসীমা নাই ।
১৯। এলেম যত গভীর হয় তার অন্তরে আল্লাহর ভীতিও সে পরিমাণে গভীরতর হয়ে থাকে। অপরদিকে মূর্খতা যত বেশী হয়, বেপরোয়া ভাব সে পরিমাণেই বেশী হয়ে।
থাকে ।
২০। অধিকসংখ্যক মানুষের দুঃখকষ্ট স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নেওয়াই প্রকৃত
বদান্যতা।
২১। কোন আমলেরই প্রতিদান আশা না করাটাই এখলাছ । দুনিয়াকে আখেরাতের জন্য উৎসর্গ করা এবং আখেরাতের ভালমন্দ আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেওয়াতেই এখলাছের পূর্ণতা আনয়ন করে।
২২। মানুষ দুনিয়ায় সুখে বসবাস করার উপযোগী অধিকতর সাজ সরঞ্জাম সংগ্রহে ব্যস্ত থাকে, আর দুনিয়া সব সময় তাকে এখান থেকে বের করে দেওয়ার আয়োজনে ব্যস্ত থাকে ।
২৩। পার্থিব সহায়-সম্পদই যার একমাত্র পুঁজি তার দ্বীন-ঈমানের দুরবস্থা বর্ণনা করার মত ভাষা এখনও সৃষ্টি হয়নি।
২৪। স্বর্ণের চাকচিক্য এবং রঙ্গের বাহারই সাধারণতঃ স্ত্রীলোকদের সর্বনাশ করে থাকে ।
২৫। বাক্যালাপ সংক্ষিপ্ত করতে চেষ্টা কর। কথা ততটুকুই উপকারী হয় যা সহজে শোনানো সম্ভব।
২৬। সম্মান এবং পদমর্যাদার মোহ যে মন থেকে বের করে দিতে পারে, এ দু’টি তার পায়ের ভৃত্যে পরিণত হয়ে যায়। মৃত্যুভয়কে যে ব্যক্তি উপেক্ষা করতে পারে, তার পক্ষেই চিরদিন মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকার মত কোন কিছু করে যাওয়া সম্ভব।
২৭। এলেম হচ্ছে আল্লাহর নবী রসূলগণের উত্তরাধিকার, আর ধন-সম্পদ ফেরাউন-কারুনের ঐতিহ্য। কোনটা বেছে নেবে, নিজেই ঠিক করে নাও।
২৮। মানুষের মৃতপ্রাণে জীবন আসে জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে, আর এলেম প্রাণ পায় তা আহরণ করার ব্যাকুলতার মাধ্যমে।
২৯। জিহ্বাই এমন একটা মারাত্মক বস্তু, যা মানুষকে সর্বাধিক বিপদের সম্মুখীন করে থাকে।
৩০। কোন সম্মান বা পদমর্যাদা যখন কাউকে স্ফীত করে তুলে, তখন সে ব্যক্তি আল্লাহর রোষে পতিত হয় ।
৩১। যারা আখেরাতের অন্বেষায় দুনিয়াকে একেবারে পরিত্যাগ করে বসে, তারা সর্বোত্তম মানুষ নয়; বরং দুনিয়া ও আখেরাত যারা সমভাবে অর্জন করতে সক্ষম হয়, তারাই সর্বাপেক্ষা সফলকাম মানুষ ।
৩২। যা চলে গেছে, তার ক্ষতি যা আসছে তদ্বারা পূরণ করতে চেষ্টা কর। অতীত গোনাহ-খাতার প্রতিকার নতুন নতুন পুণ্যদ্বারা করতে চেষ্টা কর।
৩৩। যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর কাজে উৎসর্গ করে দেয়, তার প্রয়োজনাদির জিম্মা আল্লাহ পাকই গ্রহণ করে নেন।
৩৪। যতটুকু এলেমের দ্বারা মনের মধ্যে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়ে যায়, একজন মুমিনের জন্য ততটুকু এলেমই যথেষ্ট।
৩৫। মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুখের কথা দ্বারা বিপদ ডেকে আনে ।
৩৬। ভদ্র মানুষ এলেম হাসিল করে বিনীত হয় আর ইতর এলেম হাসিল করে অহঙ্কারী হয়ে যায়।
৩৭। মন্দ লোকের সাহচর্য থেকে একাকিত্ব এবং একাকিত্বের চাইতে সৎলোকের সাহচর্য উত্তম ।
৩৮। সদুপদেশ যার মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, তার মন ঈমানের আলো থেকে শূন্য।
৩৯। যে দিনটি চলে গেছে এবং তাতে তুমি কোন একটি ভাল কাজও করতে পারনি, হারিয়ে যাওয়া সে দিনটির জন্য তোমার ক্রন্দন করা উচিত।
৪০। তোমার জীবনে যা ঘটবার তা নিকট ভবিষ্যতেই ঘটবে। তবে মৃত্যু তার চাইতে নিকটে বসে আছে।
৪১। যে ব্যক্তি নিজের গোপন তথ্যাদি গোপন করে রাখতে পারে সে যেন তার নিরাপত্তা নিজের হাতের মুঠোর মধ্যেই ধরে রাখল।
৪২। পার্থিব সম্পদে আকৃষ্ট লোভী প্রকৃতির লোককে এলেম শিক্ষা দেওয়া ডাকাতের নিকট তরবারী বিক্রয় করার নামান্তর মাত্র।
৪৩। ধন-সম্পদের দ্বারা দুনিয়াতে সম্মান অর্জন করা যেতে পারে, তবে আখেরাতের সম্মান কেবলমাত্র নেক আমল দ্বারাই অর্জন করা সম্ভব হবে।
৪৪। সে ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা হতভাগ্য যে নিজে মরে যাওয়ার পরও তার গোনাহ মরে না। অর্থাৎ এমন কিছু কুকর্ম করে যায়, যার অনিষ্টকারিতা অব্যাহত থাকে ।
৪৫। মৃত্যুর কথা, ঋণের কথা, স্বীয় অঙ্গীকারের কথা, পিতামাতার অন্তিম উপদেশের কথা এবং জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের কথা কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়। (জুনাইদ)
৪৬। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সীমা অতিক্রম করলে অহমিকা সৃষ্টি করতে পারে। অপরদিকে প্রয়োজনের কম জ্ঞান আহম্মকির জন্ম দেয়। সুতরাং পরিমিত জ্ঞান ও তৎসহ মনের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই মুমিনের কাম্য হওয়া উচিত।
৪৭। এলেমবিহীন আমল হয় রুগ্ন। আর আমলবিহীন এলেম বন্ধ্যা হয়ে যাবে।
৪৮। চোখের পুতলী হচ্ছে অন্তরের সকল রোগের দ্বার বিশেষ। দ্বার পথেই লোভ লালসা এবং কামবাসনা অন্তরদেশে প্রবেশ করে থাকে। যে ব্যক্তি লোভনীয় সকল কিছু থেকে চোখ বন্ধ করতে পারে, তার পক্ষেই কেবল এসবের ধ্বংসকারিতা থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
৪৯। অভাবী মানুষকে সওয়াল করার আগেই কিছু দিতে চেষ্টা কর। সওয়ালের পর দিলে তোমার দানের তুলনায় তার আত্মমর্যাদা অনেক বেশী বিনষ্ট হয়ে যাবে।
৫০। মানুষ নিতান্ত দুর্বল একটি প্রাণী হয়েও মহাপরাক্রান্ত আল্লাহর নাফরমানী করার মত দুঃসাহস দেখানো সত্যই আশ্চর্যের ব্যাপার।
৫১। হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার মত মনোবল যদি অর্জন করতে পার, তবেই জীবনের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে পারবে।
৫২। সর্বাপেক্ষা বড় দুর্বৃত্ত সেই ব্যক্তি, মৃত্যুর পর যার কৃত দুষ্কর্মের প্রভাব অব্যাহত থাকে ।
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন>>২০ টি ইসলামিক স্ট্যাটাস ছবি সহ