মহান আল্লাহ আমাদের উপর দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নাময ফরজ করেছেন। যা প্রত্যেক মুসলমান আদায় করা বাধ্যতা মূলক। তাই অনেকে নামাজের প্রয়োজনীয় মাসআলা সমূহ জানতে চায়। আপনিও যদি তাদের মধ্য থেকে একজন হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য খুবই উপকারে আসবে।
নামাজের ফরজ কয়টি ও কি কি – নামাজের ওয়াজিব – নামাজের সুন্নত কয়টি – নামাজ ভঙ্গের কারণ
উপরে উল্ল্যেখিত সকল বিষয়ে এখানে লিখা রয়েছে।
নামাজের ফরজ ১৩ টি
নামাযের বাহিরে ৭ ফরয
১। শরীর পাক।
২। কাপড় পাক।
৩। নামাযের জায়গা পাক।
৪। সতর ঢাকা।
৫। ক্বিবলামুখী হওয়া।
৬। ওয়াক্তমত নামায পড়া।
৭। নামাযের নিয়্যাত করা।
নামাযের ভিতরে ৬ ফরয
১। তাকবীরে তাহরীমা বলা।
২। দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া।
৩। ক্বিরা’আত পড়া।
৪। রুকু’ করা।
৫। দুই সিজদা করা।
৬।আখিরী বৈঠক।
নামাজের ওয়াজিব ১৪টি
১। আলহামদু শরীফ পুরা পড়া।
২। আলহামদুর সঙ্গে সূরা মিলানো।
৩। রুকূ’ , সিজদায় দেরী করা।
৪। রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৫। দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসা।
৬। দরমিয়ানী বৈঠক। (চার রাক’আত নামাযে দুই রাক’আত পড়ে প্রথম বৈঠক)।
৭। উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া।
৮। ইমামের জন্য ক্বিরা’আত আস্তে এবং জোরে পড়া। (আস্তের জায়গায় আস্তে পড়া এবং জোরের
জায়গায় জোরে পড়া) ।
৯। বিতিরের নামাযে দু’আয়ে কুনূত পড়া।
১০। দুই ঈদের নামাযে ছয় ছয় তাকবীর বলা।(প্রতি রাকা’আতে তিন তাকবীর করে ছয় তাকবীর বলা)।
১১। ফরয নামাযের প্রথম দুই রাক’আতকে ক্বিরাতের জন্য নির্ধারিত করা।
১২। প্রত্যেক রাক’আতের ফরযগুলির তারতীব ঠিক রাখা।
১৩। প্রত্যেক রাক’আতের ওয়াজিবগুলির তারতীব ঠিক রাখা।
১৪। আসসালামু আলাইকুম বলে নামায শেষ করা।
নামাজের সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্ ১২টি
১। দুই হাত উঠানো।
২। দুই হাত বাঁধা।(মেয়েদের জন্য দুই হাত রাখা)
৩। ছানা পড়া।
৪। আ’উযুবিল্লহ পড়া।
৫। বিসমিল্লাহ পড়া।
৬। আলহামদুর শেষে আমীন বলা।
৭। প্রত্যেক উঠা বসায় আল্লাহু আকবার বলা।
৮। রুকু’র তাসবীহ পড়া।
৯। রুকূ হতে উঠার সময়- ছামী আল্লাহু লিমান হামীদা-রব্বানা লা’কাল হামহ্।
১০। সিজদার তাসবীহ পড়া।
১১। দরূদ শরীফ পড়া।
১২।দু’আয়ে মা’সূরা পড়া।
নামাজ ভঙ্গের কারণ ১৯টি
১। নামাযে অশুদ্ধ পড়া।
২। নামাযের ভিতর কথা বলা।
৩। কোন লোক কে সালাম দেওয়া।
৪। সালামের উত্তর দেওয়া।
৫। উহ্ আহ্ শব্দ করা।
৬। বিনা ওযরে কাশি দেওয়া।
৭। আমলে কাসীর করা।
৮। বিপদে কি বেদনায় শব্দ করে কাঁদা।
৯। তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় সতর খুলে থাকা।
১০।মুক্তাদী ব্যতীত অপর ব্যক্তির লোক্বমা দেওয়া।
১১। সুসংবাদ ও দুঃসংবাদের উত্তর দেওয়া।(সুসংবাদের উত্তর – আলহামদু লিল্লাহ ও দুঃসংবাদের উত্তর- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি
রাজি’উন বলা)।
১২। নাপাক জায়গায় সিজদা করা।
১৩। ক্বিবলার দিক হতে সীনা ঘুরে যাওয়া।
১৪। নামাযে কুরআন শরীফ দেখে পড়া।
১৫। নামাযে শব্দ করে হাসা।
১৬। নামাযে দুনিয়াবী কোন কিছু প্রার্থনা করা।
১৭। হাঁচির উত্তর দেওয়া।( হাঁচির উত্তরে -ইয়ার হামুকাল্লাহ বলা)।
১৮। নামাযে খাওয়া ও পান করা ।
১৯। ইমামের আগে মুক্তাদী দারিয়ে যাওয়া।(ইমাম হতে মুক্তাদী সামনে দাঁড়ানো)।
নামাজ সম্পর্কে আরো পড়ুন>> নামাজের ইকামত